নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বিমান বন্দর থানার এএসআই ফাতেমা আক্তার মুক্তির বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খানের কাছে দ্বিতীয়বারের মত লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগি কবির খান নামের এক ব্যক্তি। প্রথম দফা অভিযোগ দিয়ে সুরাহা না পাওয়ায় পুনরায় গত ১৩ নভেম্বর ডাক যোগে তিনি কমিশানার বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীর কবির খান নামের এক ব্যক্তি বরিশাল মেট্রোপলিটন এলাকার বিমান বন্দর থানার এএসআই ফাতেমা আক্তার মুক্তির বিরুদ্ধে গত ২২ জুলাই পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আমলী আদালতে হাজির হয়ে সিআর মােকদ্দমা নং-৪৫৩/২০ ধারা ৪০৬, ৪২০, ৫০৬, ১০৯ দঃবি: একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মােকদ্দমায় বিজ্ঞ আদালত গত ২৯ সেপ্টেম্বর হাজিরার দিন ধার্য্য থাকায় বাদী হিসেবে কবির খানসহ তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম (৪৫), শরিফ (৪০), মােঃ সুমন সিকদার (৩০), আদালতে উপস্থিত হন। উপস্থিত হওয়ার কিছুক্ষণ পরে মামলার আসামি এসএসআই ফাতেমা আক্তার মুক্তি পােশাক পরিহিত অবস্থায় কবিরের সামনে এসে রগচটা অবস্থায় মামলা করেছিস কেন” বলে প্রশ্ন করেন এবং “মামলা প্রত্যাহার করবি কিনা” বলে জানতে চান। কবির তার কথার উত্তরে জানান-মামলা বিচারের আশায় করেছি, প্রত্যাহার করব কেন। এ কথা বলার সাথে সাথে তাকে অশালীন, অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে বলেন- “পুলিশ চেননা? চেনাব, তাের নামে বিভিন্ন থানায় মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসাবাে, তাের ছেলের চাকরি খাব, তােকে জেলের ভাত খাওয়াব” বলে হুমকি দেন। তাছাড়াও কবির খানের স্ত্রীকে অশালীন বাজে মন্তব্য করে। কবির খান তার (নারী এএসআই ফাতেমা আক্তার মুক্তি) আগ্রাসী আচরণ ও হুমকিতে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পরেন। ফাতেমা আক্তারের হুমকিতে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে বলে মনে করে এবং একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে এরূপ আচরণ, হুমকি মােটেই কাম্য নয় বলে জানান কবির খান।
কবির খান আরও বলেন, ফাতেমা আক্তারের বিরুদ্ধে সিআর মামলা ৪৫৩/২০২০ দায়ের হবার পরে গত ২৯/০৯/২০২০ তারিখ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আমলী আদালত, পটুয়াখালী ও ০৯/১১/২০২০ তারিখ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত পটুয়াখালীতে হাজির হয়ে বিজ্ঞ কৌঁসুলির মাধ্যমে জামিন গ্রহণ করার পরেও স্বপদে কর্মরত রয়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট মো: রেজাউল করিম অভি বলেন, বিধি মোতাবেক যে কোন সরকারি কর্মচারী বিজ্ঞ আদালত হইতে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর সাময়িক বরখাস্ত বলে বিবেচিত হওয়ার নির্দেশনা আছে।
উক্ত নির্দেশনা যথাযথ প্রতিফলন না হওয়ায় ফাতেমা আক্তার স্বপদে কর্মরত থেকে মামলার বাদি কবির খানকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছেন। সে যেকোন মুহূর্তে কবির খানসহ তার ছেলের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানাযায়। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা ও নারী এএসআই ফাতেমা আক্তার মুক্তি কর্তৃক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার আকুতি জানান ভূক্তভোগী কবির খান।
Leave a Reply